মোঃ জুলহাস মিয়া বরগুনা:
বরগুনায় মাছুম বিল্লাহ (৩২) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করলো তার শশুরবাড়ি এলাকার সেলিম (৩৮)নামের এক বখাটে।
স্ত্রী শারমিন জাহান রাজমিনকে বিয়ে করতে না পেরে দীর্ঘদিনের ক্ষোভে বরগুনা সদর উপজেলার ৩ নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের মাওলানা শাহ আলম সিদ্দিকি তার ছেলে মাছুম বিল্লাহকে ধারালো দাও দিয়ে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে গুলিশাখালী ৮ নং ওয়ার্ডের মাহবুবুল আলম পনুর ছেলে – শহিদুল ইসলাম সেলিম।
মঙ্গলবার (৩১ শে আগষ্ট) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়- গতকাল সোমবার সন্ধায় সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ তার শশুর বাড়ীতে স্ত্রীকে দেখতে যান।
ভোর রাতে নামাজ পড়ার জন্য ওযু করতে পুকুরে গেলে পিছন থেকে সেলিম প্রথমে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পরে ধারালো দাও দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকলে তার ডাক চিৎকারে স্ত্রী শারমিন জাহান ও তার পরিবারের লোকজন ছুটে এসে মাছুমকে উদ্ধার করে।
পরে বরগুনা জেনারেল হাসপতালে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন
ভুক্তভোগীর স্ত্রী শারমিন জাহান রাজমিন বলেন-দীর্ঘদিন শহিদুল ইসলাম সেলিম আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নানাভাবে আমাকে উওাক্ত করে আসছিলো।
এরই ক্ষোভে গতকাল সোমবার আমার স্বামী সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার ভোর রাতে ফজরের নামাজ পড়ার জন্যে ওযু করতে পুকুরে গেলে পিছন থেকে তার উপরে অতর্কিত হামলা করে। তার ডাক চিৎকারে আমরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
আমি আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদান্তসাপেক্ষে এর বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ বলেন- গতকাল সোমবার সন্ধায় গুলিশাখালী ৮ নং ওয়ার্ডে আমার শশুরবাড়িতে বেড়াতে যাই। মঙ্গলবার ভোর রাতে নামাজ পড়ার উদ্দ্যশ্যে ওযু করতে পুশকুনিতে গেলে ওত পেতে থাকা শহিদুল ইসলাম সেলিম ও তার বাহিনী পিছন থেকে আমার উপরে হামলা করে।
প্রথমে মেরে ফেলার উদ্দ্যশ্যে লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। পরে আমি অঞ্জান হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পরি। এর পরে কি হয়েছে আমি আর খেয়াল করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন-আমি বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন সদস্য ও দৈনিক গণকন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
Leave a Reply