নোয়াখালী প্রতিনিধি সালমা রিয়া:
নোয়াখালীতে আন্তঃজেলা অটোরিকশা চোর চক্রের ৯সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১১। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা,১৫টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি, চোরাই অটোরিকশা বিক্রয়লব্দ নগদ ষোল হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, চৌমুহনী পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডের মো.মঈন (৩২) মো.ফারুক (২৬) মো.সোহেল (৩৯) মো.পলাশ (৩৬) সোলাইমান ভুট্টু (৪০) মো.কামরুল হোসেন টিপু (২৬) মো.শাহাদাত হোসেন রিপন (৪৫) মো. আহসানুজ্জামান ফয়সাল (৩৫) মো. আ.আরশাদ (২৯)।

গতকাল রোববার (১৯ জুন) ভোর রাতে চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো.শামীম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ জুন দুপুর ২টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভা ডেলটা গেইট সংলগ্ন এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন (৪০) যাত্রী মোরশেদকে অটোরিকশায় করে চৌমুহনী পৌরসভার সামনে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে পৌরসভার সামনে থেকে আসামি মঈন রিকশায় উঠে আলীপুর কন্ট্রাক্টর মসজিদের নিকট যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কন্ট্রাক্টর মসজিদের পশ্চিম পাশের্^ যাওয়ার পর পলাতক আসামি মোরশেদকে গিয়াস উদ্দিন দেখতে পায়। তখন মঈন অটোরিকশা থেকে নেমে তাদের আরো ৩ জন লোক পৌরসভার সামনে যাবে বলে অপেক্ষা করতে বলে। তখন চালকের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ায় শৌচাগারে গেলে মো.মঈন, ফারুক, সোহেল, পলাশ ও পলাতক আসামি মোরশেদকে তার অটোরিকশা নিয়া দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা অটোরিকশা চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তারা দীর্ঘদিন যাবত ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলা হতে অটোরিকশা চুরি করে। এরপর সোলাইমান ভুট্টুর গ্যারেজে রাতারাতি অটোরিকশার আকার, আকৃতি, রং ও অন্যান্য পরিবর্তন সাধন করে নতুন অটোরিকশায় পরিনত করে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগকারী মো. গিয়াস উদ্দিন বেগমগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।