০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে বাসচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু

  • আপডেট: ০৭:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • 23885

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রাবাহী বাসচাপায় শিশু মিম আক্তার ও তার নানা নছির মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার সিয়াম পেট্টোল পাম্পের সামনে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটমা ঘটে। নিহত মিমি ও আহত নছির ভোলা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিমি ও তার নানা নছির চট্টগ্রামগামী শাহী পরিবহণের একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। ভোলা থেকে লঞ্চে এসে তারা সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট এলাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে শাহী বাসে উঠেন। ঘটনাস্থল এসে বাসটি তেল নেওয়ার জন্য পাম্পে দাঁড়ায়। এসময় নাতনিকে নিয়ে বাস থেকে নেমে নছির রাস্তার বিপরীত পাশের দোকানে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় যমুনা পরিবহণের একটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু মিমি মারা যায়। এসময় তার নানা নাছিরও গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দুর্ঘটনায় এক শিশুকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আহত অবস্থায় নছির নামে আরও একজনকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। সম্পর্কে তারা নানা-নাতনি বলে জানা গেছে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ও আহত ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নছিরও মারা যান।এঘটনায় বাস আটক করলেও চালকে আটক করা যায়নি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

তথ্য উপদেষ্টাকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারা ষড়যন্ত্রের অংশ: এ্যানি

লক্ষ্মীপুরে বাসচাপায় নানা-নাতনির মৃত্যু

আপডেট: ০৭:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রাবাহী বাসচাপায় শিশু মিম আক্তার ও তার নানা নছির মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার সিয়াম পেট্টোল পাম্পের সামনে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটমা ঘটে। নিহত মিমি ও আহত নছির ভোলা জেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিমি ও তার নানা নছির চট্টগ্রামগামী শাহী পরিবহণের একটি বাসের যাত্রী ছিলেন। ভোলা থেকে লঞ্চে এসে তারা সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট এলাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে শাহী বাসে উঠেন। ঘটনাস্থল এসে বাসটি তেল নেওয়ার জন্য পাম্পে দাঁড়ায়। এসময় নাতনিকে নিয়ে বাস থেকে নেমে নছির রাস্তার বিপরীত পাশের দোকানে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় যমুনা পরিবহণের একটি বাস তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু মিমি মারা যায়। এসময় তার নানা নাছিরও গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দুর্ঘটনায় এক শিশুকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আহত অবস্থায় নছির নামে আরও একজনকে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। সম্পর্কে তারা নানা-নাতনি বলে জানা গেছে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ও আহত ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নছিরও মারা যান।এঘটনায় বাস আটক করলেও চালকে আটক করা যায়নি।