জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ September 21st, 2021 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2145 বার
বিজয়ের আলো ডেস্ক:
দলিল জালিয়াতি মামলায় লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার তিন আসামীকে কারাগারের প্রেরণ করেছেন আদালত। এর আগে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে আদালতে ৪জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন নাজমা আক্তার।
সোমবার দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জুয়েল দেব এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলা বিবরণ ও ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে জানাযায়, চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের কন্যা নাজমা আক্তারের মা ছালেহা বেগম দেওপাড়া মৌজার খতিয়ান ১২৫ ডিপি ১৫৮ খতিয়ানে ৫০৬০ নং দলিলে ১০শতাংশ জমি খরিদ করে। তিনি লেকান্তরে নাজমা আক্তার সহ ৩ বোন ও ২ ভাই ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তির মালিক দখলকার হয়। নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সম্পত্তির ভোগ দখল করা অবস্থা মালিকানা দাবী করে জনৈক নূরনবী, করফুলের নেছা, শাহ আলম নাজমা আক্তার গংদের শান্তিপূর্ণ দখলে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে। পরে নাজমা আক্তার গংরা খোজ নিয়ে জানতে পারে দলিল লেখক আহম্মদ উল্যাহ আমিন জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত দলিলটি নূরনবীর নামে জাল দলিল সৃষ্টি করে।
প্রতারকরা জালিয়াতি করে ওই ১২৫ এর ডিপি ১৫৮ খতিয়ানটি বেছুনী বেগম, করফুলের নেছা, মাছুদা বেগমের নামে ভূয়া রেকর্ড করে, তঞ্চকতা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চন্দ্রগঞ্জ সাব রেজিষ্টি অফিস থেকে নূরনবীর নামে ৩৯৪২/২০ নং দলিল রেজিষ্ট্রেশন করে নেয়।
এ ঘটনায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৮২/২০। দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০ ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৩৪ ধারা। মামলার আসামীরা হলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের মোঃনূরনবী, বসুদুহিতা গ্রামের চৌধুরী মিয়ার স্ত্রী করফুলের নেছা, ছেলে শাহ আলম ও গণিপুর গ্রামের ১৮৪৯নং সনদধারী দলিল লেখক আহাম্মদ উল্যাহ আমিন।
এ বিষয়ে নাজমা বেগম জানান, দলিল জাল ও প্রতারণা অভিযোগে আমি আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি। সি আইডিকে তদন্ত দিলে জালিয়াতির বিষয়টি সত্যতা পেলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলেও জানান। এছাড়া তিনি জালিয়াতির অপরাধে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও ভূয়া জাল দলিলটি বাতিলের দাবী জানান।
Leave a Reply