লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর বিরুদ্ধে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে ছাত্রলীগের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়। এতে দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বাদীকে হুমকির ঘটনায় বাবলুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও হত্যা মামলার সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রয়াত সজিবের মা ও মামলার বাদী বুলি বেগম। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন,চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহমেদ,চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন,চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিঠন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান ও শিপন খলিফা,চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু ও চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

মামলার বাদী বুলি বেগম বলেন, বাবলু আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। সে আমাকে মারধর ও আমার ঘর জালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাবির আহমেদ বলেন, মামলার প্রধান আসামি বাবলু একজন ডাকাত। জামিনে এসে সে আমাদের কয়েকজনকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা তার হুমকিকে ভয় পাই না। আমরা সজীব হত্যার বিচার চাই। সজীব হত্যা মামলার সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বলেন, আমি হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছি। কিন্তু এখনও চন্দ্রগঞ্জ যাইনি। সজীব হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য- সজীবের মাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা ও গুলি চালানো হয়। ১৫ এপ্রিল রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল রাতে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান।