১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

সন্তানের চাকুরী স্থায়ী করণের দাবিতে ভিক্ষুক বাবার অনশন

  • আপডেট: ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • 21573

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
সন্তানের চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন ভিক্ষুক বাবা সাহেদ আলী। তিনি নিজ ছেলে হাবিবুর রহমান এর আউটসোর্সিং চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন প্লে-কার্ড নিয়ে এসে অনশন শুরু করেন। এসময় ছেলের চাকুরি স্থায়ী হলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সাহেদ আলী লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে হাবিবুর রহমান রুবেল লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনারের কাজ করেন।

ভিক্ষুক সাহেদ আলী বলেন, তিনি মাটি কাটা শ্রমিক ছিলেন। ২০১২ সালে গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হয়ে দু পা কেটে ফেলতে হয়েছে তার। এরপর সংসার জীবনে ৩ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। ভিক্ষা করেই সংসার চলতো তাদের।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ এর ৩ নাম্বার অনুচ্ছেদে -৮ অনুযায়ী ২০২২ সালে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যান্ডেনিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ হয় তার ছেলের। ওই সময় থেকে তার ছেলে হাবিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ক্লিনার হিসেবে কাজ করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে সাহেদ আলী বলেন, ছেলের চাকুরি স্থায়ী হলে তিনি ভিক্ষা ছেড়ে দিবেন। তারা যেন দুবেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে জীবন চালাতে পারি সে ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ ভিক্ষুক।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ‌সাহেদ আলীর সংসারে আয়-উপার্জনের একমাত্র সম্বল হলো তার সন্তান হাবিবুর রহমার প্রকাশে রুবেল। তার চাকুরি চলে গেলে সংসার দেখাশোনার মতো এখন আর কেউ নেই। তার চাকুরি স্থায়ী হলে বৃদ্ধ সাহেদ আলী শান্তিতে থাকতে পারবেন। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী যাতে ওই পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন।’

২০২২ সালে ১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ দেয় সরকার।

Tag :

১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি —-শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

সন্তানের চাকুরী স্থায়ী করণের দাবিতে ভিক্ষুক বাবার অনশন

আপডেট: ১০:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
সন্তানের চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন ভিক্ষুক বাবা সাহেদ আলী। তিনি নিজ ছেলে হাবিবুর রহমান এর আউটসোর্সিং চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও স্থায়ী করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন প্লে-কার্ড নিয়ে এসে অনশন শুরু করেন। এসময় ছেলের চাকুরি স্থায়ী হলে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সাহেদ আলী লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার ছেলে হাবিবুর রহমান রুবেল লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনারের কাজ করেন।

ভিক্ষুক সাহেদ আলী বলেন, তিনি মাটি কাটা শ্রমিক ছিলেন। ২০১২ সালে গ্যাংগ্রিন রোগে আক্রান্ত হয়ে দু পা কেটে ফেলতে হয়েছে তার। এরপর সংসার জীবনে ৩ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। ভিক্ষা করেই সংসার চলতো তাদের।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ এর ৩ নাম্বার অনুচ্ছেদে -৮ অনুযায়ী ২০২২ সালে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যান্ডেনিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ হয় তার ছেলের। ওই সময় থেকে তার ছেলে হাবিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ক্লিনার হিসেবে কাজ করে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে সাহেদ আলী বলেন, ছেলের চাকুরি স্থায়ী হলে তিনি ভিক্ষা ছেড়ে দিবেন। তারা যেন দুবেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে জীবন চালাতে পারি সে ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ ভিক্ষুক।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ‌সাহেদ আলীর সংসারে আয়-উপার্জনের একমাত্র সম্বল হলো তার সন্তান হাবিবুর রহমার প্রকাশে রুবেল। তার চাকুরি চলে গেলে সংসার দেখাশোনার মতো এখন আর কেউ নেই। তার চাকুরি স্থায়ী হলে বৃদ্ধ সাহেদ আলী শান্তিতে থাকতে পারবেন। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী যাতে ওই পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন।’

২০২২ সালে ১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগ দেয় সরকার।