লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে নিজের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে সুমী আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্প্রতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থা ওই গৃহবধূকে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন গৃহবধূ সুমীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর-আগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তির হাট গ্রামে আব্দুর রব বাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মা-মেয়ে।

নিহত গৃহবধূ সুমী আক্তার ২ ছেলে ১ কন্যা সন্তানের জননী ও ওইবাড়ীর আমির হোসেনের স্ত্রী। আমির হোসেন পেশায় অটোরিকশা চালক।

স্কুল-শিক্ষার্থী সুমাইয়া স্থানীয় কুশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

হাসপাতালে স্বজনরা জানান, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া তার ৫ মাসের ছোট ভাইকে দোলনায় শুয়ে রেখে খেলাধুলা করছে। পাশে বৈদ্যুতিক পাখা ছিলো। ওই বৈদ্যুতিক পাখা থেকে বিদ্যুৎতায়িত হয় সুমাইয়া। বিষয়টি তার মা সুমীর চোখে পড়ে। সুমাইয়াকে বাঁচাতে গিয়ে (মা) সুমী আক্তারও বিদ্যুৎতায়িত হন। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থা মা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে আসলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। (মেয়ে) সুমাইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরমান হোসেন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আমরা গৃহবধূকে মৃত পেয়েছি। তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।