১২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

ভবনের মূল ফটক ভেঙে দোকান নির্মাণ, লক্ষ্মীপুরে জিম্মি ৩০ পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

  • আপডেট: ১১:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • 12012

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে ১০তলা ভবনের মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করে ৩০টি পরিবারকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন এর আয়োজন করেন। আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই পরিবারগুলো জিম্মি হয়ে রয়েছে।

এতে ফ্ল্যাট মালিক প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, ইকবাল হোসেন, মো. সোহাগ, মানিক হোসেন, শিক্ষক লোকেশ্বর দাস, ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, আমেনা বেগম বক্তব্য রাখেন।

ভূক্তভোগীরা জানায়, সামছুল আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাফওয়ান টাওয়ারে ৩০টি পরিবার ফ্ল্যাট কিনেছেন। এতে নিয়মানুযায়ী নীচতলায় পার্কিং ও চলাচলের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা দলিলে উল্লেখ আছে। কিন্তু আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তি ভবনের নীচতলার মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে তিনি রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে সিমেন্টের ব্যবসা চালু করেছেন। তার কারণেই ৩০টি পরিবার এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না ভূক্তভোগীরা। মই ব্যবহার করে তাদেরকে ফ্ল্যাটে উঠতে হয়। এ জিম্মি দশা থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

এদিকে দোকান নির্মাণের প্রতিবাদ করলে আরজু ও তার লোকজন ফ্ল্যাট মালিক সৌদি প্রবাসী নাদিমকে মারধর করে। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় নাদিমের দায়েরকৃত মামলায় আরজু কয়েকদিন জেলও খেটেছেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।,

Tag :

১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি —-শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

ভবনের মূল ফটক ভেঙে দোকান নির্মাণ, লক্ষ্মীপুরে জিম্মি ৩০ পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট: ১১:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে ১০তলা ভবনের মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করে ৩০টি পরিবারকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া এলাকার সাফওয়ান টাওয়ারে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন এর আয়োজন করেন। আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তির কাছে ওই পরিবারগুলো জিম্মি হয়ে রয়েছে।

এতে ফ্ল্যাট মালিক প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ব্যাংক কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, ইকবাল হোসেন, মো. সোহাগ, মানিক হোসেন, শিক্ষক লোকেশ্বর দাস, ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, আমেনা বেগম বক্তব্য রাখেন।

ভূক্তভোগীরা জানায়, সামছুল আলম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাফওয়ান টাওয়ারে ৩০টি পরিবার ফ্ল্যাট কিনেছেন। এতে নিয়মানুযায়ী নীচতলায় পার্কিং ও চলাচলের জন্য উম্মুক্ত থাকার কথা দলিলে উল্লেখ আছে। কিন্তু আবদুর রহমান আরজু নামে এক ব্যক্তি ভবনের নীচতলার মূল ফটক ভেঙে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে তিনি রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে সিমেন্টের ব্যবসা চালু করেছেন। তার কারণেই ৩০টি পরিবার এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না ভূক্তভোগীরা। মই ব্যবহার করে তাদেরকে ফ্ল্যাটে উঠতে হয়। এ জিম্মি দশা থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

এদিকে দোকান নির্মাণের প্রতিবাদ করলে আরজু ও তার লোকজন ফ্ল্যাট মালিক সৌদি প্রবাসী নাদিমকে মারধর করে। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় নাদিমের দায়েরকৃত মামলায় আরজু কয়েকদিন জেলও খেটেছেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।,