জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ May 6th, 2023 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 11598 বার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় রিমাণ্ডে থাকা দুই আসামির তথ্য অনুযায়ী একটি দু’নলা ও একটি এক নলা বন্দুকসহ ৫টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৬ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
পুলিশ সুপার জানান, মামলার ৫ আসামি বর্তমানে রিমাণ্ডে রয়েছে। এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি মশিউর রহমান নিশান ৫ দিনের ও ১৪ নম্বর আসামি আজিজুল ইসলাম বাবলু ৩ দিন রিমাণ্ডে রয়েছে। বাবলুকে নিয়ে ৪ মে রাতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয় পুলিশ। তার তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের অদূরে মাঠের পাশে কলাবাগান থেকে কলাপাতা মোড়ানো একটি দুনলা দেশিয় বন্দুক ও ৪ রাউণ্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে রিমাণ্ড চলাকালীন নানান কৌশলে নিশানের কাছ থেকে অস্ত্রের সন্ধান নেওয়া হয়। ৫ মে রাতে আসামি নিশান ও রুবেল দেওয়ানকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ। নিশানের বাড়ির ঘরের পাশে একটি লাকড়ি ঘর থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
আদালতে জবানবন্দিতে মামলার ৩ নম্বর আসামি দেওয়ান ফয়সাল ও ১৮ নাম্বার আসামি আলমগীর ওরফে কদু আলমগীর তথ্য দিয়েছিল হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য অস্ত্রের সঙ্গে দেশিয় কিছু বন্দুক ব্যবহার হয়েছে। অস্ত্রগুলো যিনি সবাইকে দিয়েছেন তাকে গ্রেপ্তারে আমরা চেষ্টা করছি। ৮টি টিমে ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী এ হত্যাকান্ডে কাজ করেছে। যিনি তাদের অস্ত্র দিয়েছে জবানবন্দিতে দেওয়ান ফয়সাল ও আলমগীর তার নাম বলেছে। এছাড়া, অনেকের কাছেই দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র ছিল।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আমরা অস্ত্র উদ্ধারে নেমেছি। সবগুলো অস্ত্রই আমরা উদ্ধার করবো। আমরা এক এক করে টার্গেট করেছি। এতে আমাদের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু গোপনীয় রাখা হয়েছে। জবানবন্দিতে কদু আলমগীর বলেছে, তার হাতে পিস্তল ছিল, একজনের হাতে বন্দুক ছিল। তারা যাওয়ার আগেই নোমান ও রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। সেহেতু তার অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। ঘটনায় অনেক অস্ত্র ছিল। এক পার্টি না মারলে আরেক পার্টি মারতো তাদের। যেহেতু এক পার্টি অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেছে, সেহেতু অন্য পার্টির প্রয়োজন হয়নি। তবে, সব অস্ত্রই ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে।
Leave a Reply