লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে ২০ কেজি গাঁজা ও দুই বোতল ফেনসিডিলসহ মনির হোসেন মনু (৪২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি মনির জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দেওপাড়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত বলে জানায় র‌্যাব।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নোয়াখালী র‌্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, র‌্যাব নোয়াখালীর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের পার্শ্ববর্তী দেওপাড়া গ্রামে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মো. মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, উদ্ধারকৃত মাদক কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল মনির।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চন্দ্রগঞ্জ থানায় র‌্যাব বাদি হয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেন মনু গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ২০১২ সালে নোয়াখালী জেলা কারাগার থেকে লক্ষ্মীপুর কোর্টে মামলার হাজিরা দিতে নেয়ার সময় চন্দ্রগঞ্জে স্কর্ট পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কামরুল বাহিনীর প্রধান কামরুল। সেই কামরুল বাহিনীর কামরুলের ছোট ভাই মাদকসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মনির হোসেন মনু।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের চত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে মনির হোসেন মনু প্রকাশ মন্যা।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।