জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ March 9th, 2023 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 18645 বার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এজাহার নামীয় ১৫ জনসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মহসীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিফন খলিফা, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হোসেন জয় ও এম সজীবসহ ৪ জনকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিরা সবাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কমিটির পক্ষে বিপক্ষে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কাজী সোলাইমান গ্রুপ ও চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রুপ মিছিল বের করে। এসময় চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের আফজাল রোডের মোড়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ উভয়পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করলে উভয় দিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন
আহত হন।
আহতরা হলেন- ডিবি পুলিশের এসআই জাকির হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আব্দুর রহিম ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আকবর হোসেনসহ ১৫ জন। পরে গুরুতর আহতদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের সময় পুলিশের ৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে এজাহার নামীয় ১৫ জনসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ তহিদুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামীলীগের দলীয় দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুইজন এসআইসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এতে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত; গত মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী তার ফেসবুক পেইজে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করেন। এতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের চলমান কমিটির নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন। একই সময় আহ্বায়ক কমিটির নেতারাও আনন্দ মিছিলের ডাক দেন। যার ফলশ্রুতিতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হন।
Leave a Reply