জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ July 21st, 2022 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 8139 বার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
মুজিব বর্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ৩য় পর্যায় (২য় ধাপে) আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বরাদ্ধকৃত ভূমিসহ ঘরের মালিকানা বুঝে পেয়েছেন ১৪২ ভূমিহীন পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে গণভবন প্রাঙ্গন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন রামগতি উপজেলার ৩নং চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের চরকলাকোপা আশ্রয়ন প্রকল্পে এক আডম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) এর সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল্যাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন জেলা প্রসাশক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একরাম হোসেন এবং উপকারভোগী নাসিমা বেগম।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সর্বমোট ৩৯০টি ঘর রয়েছে। ইতিপূর্বে ২৪ এপ্রিল ৫২টি ঘর উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ৯নং চরগাজী এবং ৭নং চররমিজ ইউনিয়নে অবশিষ্ট্য ১৯৬টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এর নির্মান কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এসএম শান্তুুন চৌধুরী। উক্ত প্রকল্পে প্রতিটি উপকারভোগী একটি ঘরের সাথে ২শতাংশ ভূমির মালিকানা পেয়েছেন। প্রকল্পটিতে পাকা রাস্তা, দুটি ঘাটলাসহ তিনটি পুকুর, ১৩টি গভীর নলকূপ, বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশন সুবিধাসহ শিশুদের জন্য চিত্ত বিনোদনের সরঞ্জাম এবং সুশোভিত ফুলের বাগান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমুল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ভ‚মিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমুল মানুষের পুনর্বাসনের মতো এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ নামে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার চর আবদুল্যা ইউনিয়নের চরগজারিয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প। ২০০১ সালের ১৬ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ওই প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। উপজেলার বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম দ্বীপ চরগজারিয়ার প্রায় ৯৭৩ একর খাস জমির ওপর নির্মিত ওই আশ্রয়ণে ৯টি কলোনীর ৯০টি ব্যারাক হাউজে ৯০০ ছিন্নমূল ও নদীভাঙা ভুমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বিলীন হয়ে যায়।
Leave a Reply