লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সৌদি-আরব প্রবাসী রুবেল ও রানার নির্মাণাধীন বাড়ীর কাজ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তাদের প্রতিবেশী মনির হোসেন ও তার স্ত্রী বেবি নাজনীনের বিরুদ্ধে। যার ফলে প্রবাসীদের নির্মাণ সামগ্রী ইট, সিমেন্ট, বালু, খোয়া ও রড বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার শালিসি বৈঠকও হয়েছে। এক পক্ষ মানলে অন্য পক্ষের লোকজন বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানছে না।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, হামছাদি ইউনিয়নের উত্তর নন্দনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের দুই ছেলে সৌদি প্রবাসী রুবেল ও রানা। তাদের পুরাতন ঘরের ভিটেমাটিতে, নতুন করে একটি পাকা-বাড়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজের দেখভাল করেন রুবেলের স্ত্রী শিউলি আক্তার ও তার বৃদ্ধ বাবা রফিকুল ইসলাম। টানা প্রায় ১ মাস যাবত কাজ চলে। হঠাৎ তাদের প্রতিবেশী মনির তাদের কাছে জমি পাবে। দাবি করে নির্মাণ বাড়ীর-কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে রোদ-বৃষ্টিতে ইট, সিমেন্ট, বালু, খোয়া ও রড বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

অভিযুক্ত প্রতিবেশ মনির ও তার স্ত্রী বেবি নাজনীন জানান, প্রবাসী রুবেল ও রানার বাবার কাছে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি পাবে। তাই তাদের জমি না বুঝিয়ে দেওয়া পর্যন্ত বাড়ীর কাজ করতে দিবে না। মৌখিকভাবে বলছেন। ক্যামেরার সামনে বলতে রাজি হননি তারা।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, মনিরদের সঙ্গে আমাদের দেড় শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। সামাজিক শালিসি বৈঠকে, তাদের সেই দেড় শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই জমি তাদের ভোগ-দখলে রয়েছে। মনির ও তার স্ত্রী ঈদের কয়েকদিন পূর্বে বাড়ীর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। ওইসময় তারা একটি খুঁটি পুঁতে রেখে যায়। জমি দাবি করে। আমার ছেলেরা বিদেশ থাকে। বাড়ীতে পুরুষ আমি ছাড়া আর কেউ নাই। মনির ও তার স্ত্রী বেবি নাজনীনর ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।