লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে মো. মনির হোসেন (২৭) নামে এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রিকে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর নবী উল্লাহর বিরুদ্ধে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ (জামাই) মনির হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপালে পাঠায়।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মনির হোসেনের বাবা আবু তাহের গণমাধ্যমকর্মীদের এ হামলার ঘটনা জানান।

এর আগে সকালে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দাসের হাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় হাজী বাড়ীর সামনে এ হামলার শিকার হন মনির হোসেন। এসময় মনিরকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন তার ফুফাতো ভাই মো. রাসেল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ৫ বছর পূর্ব তার স্ত্রী মুন্নি আক্তারকে ভালোবাসে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। ৪-৫ মাস পূর্ব থেকে তার স্ত্রী মুন্নি মুঠোফোনে অপরিচিত লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলতেন। এনিয়ে তাকে বাঁধা দিলে সৃষ্টি হয় দুইজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের রেশ। মুন্নি অভিমান করে স্বামী ও ছেলেকে রেখে রাজধানী ঢাকা শহরে চলে যান। সেখান থেকেও মুন্নিকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন মনির। সম্প্রতি মুন্নি তার বাবার বাড়ী গিয়ে স্বামী মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। (আজ) বুধবার সকাল ১০ টার দিকে মনির মোটরসাইকেল যোগে তার ফুফাতো ভাই রাসেলকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ীর পাশে একটি বাড়ীতে কাজের বিষয় কথা বলতে যান। ফেরার পথে তার শ্বশুর নবী উল্লাহ লোকজন নিয়ে মনির হোসেনের পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মনিরকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে মনিরকে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে দাসের হাট পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে মনির ও তার ফুফাতো ভাইকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠান।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শ্বশুর বাড়ী থেকে মনিরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। যেহেতু পারিবারিক সমস্যা তাই কাউকে আটক করা হয়নি। তবে লেখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।