জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ February 20th, 2022 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 6075 বার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী দীর্ঘদিন গোপনে প্যাকেটজাত গোশতের ব্যবসা করে আসছেন। স্থানীয় হোটেলে তা গরুর গোশত হিসেবে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। কিন্তু আসলেই তা গরুর গোশতা নাকি অন্যকিছু নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। সেই অজানা ৬ মণ প্যাকেটজাত গোশত নিয়েই ইউসুফ পাটওয়ারীর ম্যানেজার মো. রহিমসহ দুই কর্র্র্র্র্র্র্র্র্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে শহরের মাদাম এলাকা থেকে গোশতসহ তাদের আটক করা হয়।
আটক রহিম শহরের মাদাম এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে ও অপরজন চাঁদপুরের মতলব উপজেলার শাহ আলমের ছেলে শাকিল। এরমধ্যে রহিম অটোরিকশা চালক। আটক রহিম ও শাকিলও বলতে পারিনি গোশতগুলো কিসের ?
গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন খাবার হোটেল ও বাজারে প্যাকেটজাত গোশত বিক্রি করে আসছে। তবে বিক্রি চলে গোপনে। গরুর গোশতের চেয়ে এগুলোর দাম অনেক কম। এজন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা খাবার হোটেলে এসব গোশত মানুষকে খাওয়াচ্ছেন।
সদর থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে ঢাকা থেকে ইকোনো পরিবহনের মাধ্যমে ১৫ বক্স গোশত লক্ষ্মীপুরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেগুলো জব্দ করা হয়। গোশতসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শ্রমিকলীগ নেতা ইউসুফ পাটওয়ারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে গোশত আমদানি করে কয়েকটি হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি। তবে আমি কোম্পানির মাধ্যমে গোশতগুলো আনি। এর মূল অফিস ঢাকায়। তবে গোশতগুলো চট্টগ্রাম নৌ-বন্দর দিয়ে আনা হয়। সেখানে ভালোভাবে পরীক্ষা করার পরই আমাদের কাছে আছে। আমার ব্যবসার বৈধ সকল কাগজপত্র আছে। এগুলো গরু ও মহিষের গোশত। অন্য কোন প্রাণী গোশত নয়। তবে কোম্পানির নাম বলতে পারেননি তিনি ।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, মাংসগুলো কিসের তা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাংসসহ আটককৃত দুইজনকে থানায় রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply