জেলার খবর, লক্ষ্মীপুর | তারিখঃ December 5th, 2021 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2521 বার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মো. মিন্টু ভূঁইয়া (৩৫) নামে মেম্বার প্রার্থীর সমর্থককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার ও এলাকাবাসী। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করে এ দাবি জানান তারা। মিন্টু উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আইয়েনগর গ্রামের মৃত হেদায়েল উল্যা ভূঁইয়ার পুত্র। তিনি আইয়েনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী। গত ৩০ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে তিনি হামলার শিকার হন।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, হামলাকারীরা যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে, আমরা প্রশাসনের কাছে সে দাবি জানাচ্ছি। আমরা অপরাধীদের সঠিক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মিন্টুর পরিবারের অভিযোগ, ভোট এবং নির্বাচনে সমর্থন না দেওয়ার জের ধরে দরবেশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য মো. সোহাগ পাটওয়ারীর নির্দেশে তার ভাই এলাকার চিহিৃত মাদকসেবী মো. সোহেল পাটওয়ারী নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা গলায় চুরি চালিয়ে মিন্টুকে হত্যার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সে প্রাণে রক্ষা পায় মিন্টু। বর্তমানে মিন্টু রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় মিন্টুর স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বাদি হয়ে গত ২ ডিসেম্বর রামগঞ্জ থানায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওইদিন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. সোহাগ ও তার ভাই সোহেল এবং হামলার সাথে সম্পৃক্ত শুভ ও জহির নামে চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
মিন্টুর স্ত্রী নার্গিস সুলতানা বলেন, আমার স্বামী পছন্দের প্রার্থী ভোট দিয়েছে। এটাই তার অপরাধ। তাই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সোহাগ বিজয়ী হয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। লোকজন এগিয়ে না আসলে তারা আমার স্বামীকে মেরেই ফেলতো। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
পরাজিত প্রার্থী সাদিয়া আক্তার রুমা বলেন, মেম্বার সোহাগের ভাই সোহেল চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবী। তার নেতেৃত্বে মিন্টুকে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মো. সোহাগ পাটওয়ারী (ফুটবল) ও সাদিয়া আক্তার রুমা (আপেল) প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনে সোহাগ জয়ী হন। হামলার শিকার মিন্টু ও তার পরিবারের সদস্যরা পরাজিত প্রার্থী সাদিয়া আক্তারকে ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনের শুরুতেই মিন্টুর পরিবারের সদস্যরা সাদিয়াকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার সোহাগের লোকজন তার উপর হামলা চালায়। আইয়েনগর গ্রামের গাছী বাড়ির সামনে ব্রিজের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply