বিজয়ের আলো ডেস্ক: মুশফিকুর রহিম পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে নেই । নির্বাচকরা বলেছেন, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু মুশফিক গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে বোর্ড ও নির্বাচকদের সমালোচনা করায় তাকে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এই দিনই হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে এসে বসেছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খানের অফিসে। সেখানে অবশ্য নিজের মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করিয়ে পার পেয়েছেন মুশফিককে। এবারের মতো মুশফিককে সতর্ক করেছে বিসিবি। সংবাদ মাধ্যমে আপাতত কথা বলায় নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে সাবেক অধিনায়ককে।

ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান আকরাম খানের কক্ষে জবাবদীহি করতে হয় মুশফিককে। শুনানিতে উপস্থিতি ছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন। সেখানে শুনানিতে মুশফিকের স্বপক্ষ শোনার পর তাকে বোর্ডের বিরুদ্ধে কথা বলায় সতর্ক থাকতে বলা হয়। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমেও কথা না বলার জন্য বলা হয়েছে।

পরিষ্কার ভাবে বিশ্রামের কথা জানানো হলেও মুশফিক কেন বাদ পড়ার বিষয়টি সামনে আনেন সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।

এর আগে ১৬ সদস্যের দল ঘোষণার দিন গত মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মুশফিকের না থাকার ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমাদের পরপর চারটি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। তার পরপরই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমরা চাচ্ছি মুশফিক যেন সেরাটা দিতে পারে। এ জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি। ‘

এরপর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে মুশফিকুর এসবের তীব্র সমালোচনা করেন। তার দাবি, টি-টোয়েন্টি দল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। তিনি নিজে থেকে বিশ্রামও চাননি। তাছাড়া অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচকেরা আলোচনা করেন না। পরিস্কার করে কিছু বলেন না- এসব অভিযোগও তোলেন মুশফিক। এর প্রেক্ষিতে বিসিবি মনে করছে, মুশফিক আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। কেন ও কী কারণে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা তিনি বলেছেন, সেটা জানতেই তাকে শোকজ করা হয়।