সালমা হক রিয়া,নোয়াখালী:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১২ নং কুতুবপুর ইউপির আবদুল্লাহপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি একান্নভুক্ত পরিবার চরম হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
মঙ্গলবার ১১ টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের এমন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এলাকার অনেক নারী পুরুষও।
মামলা হামলায় জর্জরিত ওই পরিবারের মো. শামছুল আলম অভিযোগ করেন,সোনালী ব্যাংক ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত মো. ইউছুফ খোকন তার স্ত্রী বিবি মরিয়ম ও পুত্র তানবিরকে দিয়ে জেলার সেনবাগ ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ও কোট কাচারীতে একাধিক মিথ্যে অভিযোগ রুজু করে এ পরিবারটিকে একের পর এক হয়রানির করে আসছে।
ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেন, অর্থের প্রভাবে ধরা জ্ঞান সরা করা ইউছুফ হয়রানির উপাদান হিসেবে কখনো স্ত্রীকে দিয়ে নারী নির্যাতন ও কখনো পুত্রকে দিয়ে সাজিয়ে চলছেন পরিকল্পিত কল্পকাহিনী।
উপর্যোপুরি হয়রানির ছোবলে ওই পরিবারটি বিগত ২০১০ সাল হতে এ পর্যন্তও থানা পুলিশ ও আদালতের গ্লানি টেনে শাররিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে চরম ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। মামলার হয়রানি থেকে বাদ পড়েনি এ পরিবারের শিশু থেকে শুরু করে ৯৫ বছরের বৃদ্ধও।
শামছুল অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা আদালত ও পুলিশের তদন্তে মিথ্যে বলেও প্রমাণিত হয়েছে। উপরন্ত বিবি মরিয়ম কর্তৃক বেগমগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় নাঃ ও শিঃ ১৭ ধারায় ঐ বাদিনী বিঞ্জ আদালত ঐ বাদিনী বিবি মরিয়মকে গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলে জেল হাজতে প্রেরন করেন। তিনি জানান, বিবি মরিয়ম ২০১৭ সালে সেনবাগ থানায় দায়ের করা এক মিথ্যে অভিযোগে নিজের বয়স ৫০ এর স্থলে ৩৫ বলে উল্লেখ করেন। স্থানীয় কুতুব পুর ইউপির চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময়ে এসব মামলা নিয়ে দুপক্ষকে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেও ইউছুফ খোকনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দৌরাত্ম্যে তা আর কোন সুরাহা করতে পারেন নি।
এসব মিথ্যে, সাজানো মামলায় আদালতে দিনের পর দিন হাজির থাকার কারণে তার এক চাচাতো ভাইয়ের একটি উন্নতমানের চাকুরিও চলে যায়। বর্তমানে ওই চাচাতো ভাই মানসিক সমস্যায় জর্জরিত।
এছাড়া ইউছুফ খোকন ভুক্তভোগী শামছুল আলমকে বিদেশ নেয়ার প্রলোভন দিয়ে ও তার চাচাতো ভাইকে বিদ্যুৎ বিভাগে সরকারী চাকুরি দেয়ার কথা বলে সর্বমোট তিন লাখ চল্লিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। এদিকে তার ছেলে শরিফ প্রিন্স শরিফ নামে পেইজবুক আইডি খুলে ভোক্তভোগি পরিবারের ভিবিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে কুরুচি পুর্ণ ভাষা ব্যবহার করে তাদের সামাজিক সুনাম বিনষ্ট করছে।
বিষন্ন ও উপর্যোপুরি হয়রানির শিকার হওয়া পরিবারটি জীবনযুদ্ধে সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে এ নিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে, ভোক্তভুগি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আবদুল মতিন,আবদুল খালেক,জয়নাল আবদিন,নুর মোহাম্মদ মানিক,নিজাম উদ্দিন দুলাল,মাসুম,ও কুতুবপুর ইউপির ৮ নং ওযার্ড মেম্বার নুরুর হুদা আলমগীর.ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply