সুইটি আক্তার, মাদারীপর থেকে:
আবহাওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে নদীতে ঢেউ আর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ও ফেরি চলাচল করছিলো পরে আবহাওয়া নিম্নচাপের প্রভাব নদীতে স্রোত আরও বেড়ে যাওয়ায় খারাপের দিকে দেখা দিলে বেলা ১২টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফেরি চলাচল শুরু করবে বলে জানান।
বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক জামিল আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সকাল থেকে এই ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অন্যদিনের চেয়ে কম ছিল।
একে তো বর্ষার মৌসুম পদ্মায় আগে থেকেই প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। তার ওপর নিম্নচাপের কারণে পদ্মায় এখন আরও উত্তাল। নদীতে বড় বড় ঢেউ আর প্রচন্ড স্রোত দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া
সহ-মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী বলেন, ফেরিগুলো ঠিকমত চলতে পারছে না। ঘাটে ভিড়তে এবং ছাড়তে সমস্যা হচ্ছে।
ঘাটগুলো ডিসপ্লেস হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ফেরি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ।
এদিকে ঢেউয়ে শিমুলিয়ায় ২ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ১ নম্বর ঘাটে অলস ফেরিগুলো নোঙর করে রাখায় এটি ব্যবহৃত হচ্ছে না। এখন শুধু ৩ নম্বর ঘাট ব্যবহার করে সীমিত সংখ্যক ফেরি চালানো হচ্ছে।
বহরের ১৮ ফেরির মধ্যে সাতটি চলছে।
লকডাউনের কারণে আগে থেকেই সাধারণ গাড়ি পার করা হচ্ছে না। শুধু জরুরি পরিষেবার জন্য এই সাতটি ফেরি চালানো হচ্ছিল ১ জুলাই থেকে।
এদিকে কঠোরতার হুঁশিয়ারি দিয়ে শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে অনেকে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে ফেরিতে করে। লকডাউনের কারণে লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিই তাদের একমাত্র ভরসা। অনুমোদন না থাকায় স্পিডবোটও বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।
ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ বলেন, ঢাকা থেকে দক্ষিণ বঙ্গে যাওয়া বা দক্ষিণ বঙ্গ থেকে ঢাকায় ফেরার প্রতিটি গাড়িতে তারা নজরদারি রাখছেন” যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে জরিমানা করছেন।
Leave a Reply