জুলহাস মিয়া,বরগুনা থেকে: বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার রামরা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার প্রশাসনের নিকট জীবনের নিরাপত্তা ও প্রতিপক্ষের মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেম্বর নাজমুল হক মধু, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের বামনা শাখার সদস্য সিমা দাস, আওয়ামীলীগ নেতা ইউসুফ আলী হাওলাদার, যুবলীগ নেতা রিপন সিকদারসহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা।
চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২১ জুন নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক জোমাদ্দার বিপুল ভোটে আমার কাছে হেরে যায়। এরপর থেকে তার ছোট ভাই বারেক জোমাদ্দার, তার তিন ছেলে কমল, পপিন, উজ্জল সন্ত্রাসী অসিম, সোহাগ, নাঈম ও জুয়েল আমার নেতা কর্মিদের উপর অত্যাচার করে আসছে। আমার কর্মি ফরিদ ও ফোরকানকে বেধড়ক মারধর করে আমার সামনে। তিনি বলেন, আমি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করার পরও আতংকে আছি। আমার প্রতিপক্ষ যে কোন সময় আমাকে খুন করতে পারে। আমার রামরা ইউনিয়নে সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতন করে ওই সন্ত্রাসীরা। তিনি আরও বলেন, পরাজিত প্রার্থী আবদুল খালেক জোমাদ্দার আমার আপন চাচাত ভাই। একই বাড়ী আমাদের। কিন্তু তাঁর ছোট ভাই আবদুল বারেক জোমাদ্দার ও তার ছেলেদের অত্যাচারে আমি বাড়ীতে যেতে পারি না। নির্বাচিত হবার পরে আমি এখানে সেখানে থাকি। আমি বামনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে বলার পরও ওই সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের নিকট জীবনের নিরাপত্তা চাই। সন্ত্রাসী অসিম ২৬ জুলাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে বলে, আমাদের কর্মিরা নাকি তাঁকে মারধর করেছে। সিমা দাস বলেন, আমরা সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়। আমরা নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন আমাদের উপর অত্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা সরকারের নিকট অত্যাচারের বিচার চাই। এ ব্যাপারে আবদুল বারেক জোমাদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বড় ভাই অ্যাডভোকেট আবদুল খালেক জোমাদ্দার রামরা ইউনিয়নে দুইবার চেয়ারম্যান, আমার বাবা হাতেম আলী জোমাদ্দারও চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনের পর আমার বড় ভাই তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ঢাকা রয়েছেন। নজরুল জোমাদ্দার সরকারী দলের নৌকা পেয়ে ভোট কেটে চেয়ারম্যান হয়ে আমাদের কর্মি অসীমকে মারধরসহ অনেক কর্মিদের গ্রাম ছাড়া করেছেন। এখন উল্টো আমার ও আমার ছেলেদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দেয়।