জহিরুল ইসলাম রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) থেকে :
চন্ডিপুর ইউনিয়ন বাসীর অসমাপ্ত প্রত্যাশা পূরণে আসছে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান- ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা স্বাক্ষরিত নৌকার প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে জনগণের সেবা দৌরগৌড়া পৌছেছেন।
চন্ডিপুর ইউনিয়নকে আধূনিকায়ন,দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষাখাত,স্বাস্থ্যসেবা,কৃষিখাত, সড়ক ও যোগাযোগ, আধূনিক শিক্ষাখাতে অগ্রাধিক সহ ধর্মীয় মূল্যবোধ, পারিবারিক কলহ নিরসন সহ যৌতুক প্রথা ও বাল্য বিবাহ নিরসণ সহ পারিবারিক আদালত মামলা দ্রত নিস্পত্তি করে আসছেন।
তিঁনি জানান চন্ডিপুর ইউনিয়ন বাসির বিপদে-আপদে পাশে ছিলাম,আছি- থাকবো. ইনশাল্লাহ।
ইউনিয়ন বাসির সকল প্রত্যাশা পূরণ সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত প্রকল্প গুলো দিয়ে ৫ বছরে চাহিদা সম্ভব হয়নি। অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে দ্বিতীয়বার নৌকার প্রতিকে তিঁনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ,পরেই যুবলীগ, বর্তমান চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক পদে রয়েছেন।
রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় অধ্যায়নরতকালে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন রোমান পাটোয়ারী,সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আব্দুল হান্নান বাবু। তিনি তেজগাঁও কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। ২০০১ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। তার স্ত্রী “ওয়ান ব্যাংক” প্রধান কার্যালয় আইডি সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাষ্টার্স পাশ করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
দাম্পত্য জীবনে কামাল হোসেন ভূইয়ার ১ ছেলে, ১ মেয়ে।
তিঁনি জানান ১৯৯৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোটের নেতারা তার বসতবাড়িতে হামলা করে শাররীক ভাবে নির্যাতন করেন।
তৎসময় ঢাকায় তার অফিসে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আশ্রায় নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে করেন।
কামাল ভুইঁয়া জানান আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য।
আমাদের বাড়িতে শতভাগ আওয়ামীলীগ সমর্থক।
১৯৭১ সালে পাকবাহিনী আমার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।
দাদা মরহুম মাওলানা মুনছুর আহম্মদ ছিলেন চন্ডিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা। চাচা সালে আহমদ ভূইয়া ছিলেন যুদ্ধচলাকালে চাটখিল- রামগঞ্জ এরিয়ার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ছোট.ভাই মিজানুর রহমান রাজধানীর পল্টন থানায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনিঁ চন্ডিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ফতেহপুর সরকারী বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, দিঘীর পাড় জামে মসজিদের সভাপতি, ফাতেহপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সাবেক সহসভাপতি পদে ছিলেন।
কামাল ভূইয়া ইউনিয়ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন-
চেয়ারম্যান চলাকালে তার ইউনিয়নে ১৭ শত ৫০ জনের মাঝে ভাতা দেন।
তিনি ৪শত ভাতাভোগী থেকে বৃদ্ধি করে ১৭ শত ৫৯ জনকে ভাতা বহি করে দেন।
৭ শত ১৫ জনকে রেশম, ১শত জনকে ভিজিডি চাউল,তিন শতাধিক মাতৃ কালীন ভাতা দেন।
তিনি জানান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর হতেই ইউনিয়নে ২৫ টি সিসি ঢালাই, ৬৫ টি কালভার্ট, ইটের সলিং ৫০টি, কাঁচা সড়ক ৪০ টির অধিক, ২টি বঙ্গবন্ধু, ১টি শেখ হাসিনা সড়ক নির্মাণ করে তাহাদের নামকরণ করেছি।বিগত ৫ বছরে ফরিদগঞ্জ বয়াডার থেকে ফতেহপুর ঐধর দিঘী পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার, রামগঞ্জ – চাঙ্গির গাঁও সড়ক প্রায়-৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। হরিশ্চর দরগা থেকে কাওনিয়া – ফকিরপুর ৩ কিলোমিটার, চন্ডিপুর ডাক্তার হুমায়ুন বাড়ি থেকে দক্ষিন চন্ডিপুর সালাম বাড়ির পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কে পাকা করন সহ প্রায় ২০/ ২৫ টি নতুন সড়ক নির্মাণ করেছি। ইউনিয়ন পরিষদকে আধূনিকায়ন, ফতেহপুর কমিউনিটি ক্লিনিক সহ চাঙ্গীর গাঁও হাসপাতাল এলাকায় ধনাঢ্য ব্যক্তিত্বের সহায়তা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাচীর নির্মাণ সহ আধূনিকায়ন,রামগঞ্জ বৃহত্তর ঈদগাঁও পদ্মা বাজার ঈদগাঁও উন্নয়ন উন্নয়ন, মুসল্লীদের ঈদ গাঁও যাতায়াত সড়ক নির্মান করেন।
তিনি আশাবাদী দলীয় হাইকমান্ড চন্ডিপুর ইউনিয়নে উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে দ্বিতীয়বার মত নৌকা প্রতিকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন করবেন।