চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ June 28th, 2021 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 811 বার
সালমা হক রিয়া,নোয়াখালী থেকে:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার রওনক আবাসিক হোটেলে কথিত প্রেমিক মো.শরীফুল ইসলাম নূরের হাতে কিশোরী (১৬) ধর্ষিত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রেমিক ও হোটেল ম্যানেজারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় গতকাল (২৭ জুন) রাতে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২-৩জনকে আসামী করে সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় সোনাইমুড়ীর একটি হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, প¦ার্শবর্তী চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া রমজান আলী মিজি বাড়ির আলী আকবরের ছেলে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম নূর (২৬), সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হোটেল ম্যানেজার ও শরীফের বন্ধু দীন মোহাম্মদ জনি (৩২)।
মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কিশোরী (১৬), নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কথিত প্রেমিক মো.শরিফুল ইসলাম নূর (২৬), কিছু দিন যাবত ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি ভিকটিম তাহার পরিবারের সদস্যদের জানাইলে পরিবারের লোকজন আসামীকে সতর্ক করে। ভিকটিম গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ী হইতে চাটখিলের একটি স্কুলে এসে এসাইনমেন্ট জমা দিয়ে পুনরায় বাড়ী ফেরার পথে আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চাটখিল পৌরসভাধীন উপজেলা গেইটের সামনে নিয়া আসে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরীফ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ভিকটিমকে প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে সোনাইমুড়ী থানাধীন রওনক আবাসিক হোটেলে নিয়া আসে। আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ২নং আসামী দ্বীন মোহাম্মদ জনির সহায়তায় হোটেলের ৫ম তলার ৫০৬ নম্বর কক্ষের ভিতরে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের যৌনাঙ্গ ফেটে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হইতে থাকলে হোটেল ম্যানেজার দ্বীন মোহাম্মদ ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় শরীফ ভিকটিমকে দুপুর দেড়টার দিকে সোনাইমুড়ীর আল খিদমাহ জরুরী সেবা ও নরমাল ডেলিভারী হসপিটাল ভর্তি করে। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন ঘটনার বিষয়ে জানতে পেয়ে আল খিদমাহ জরুরী সেবা ও নরমাল ডেলিভারী হসপিটাল”আসিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত আসামীরা কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ভিকটিম বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশ কতিথ প্রেমিক ও হোটেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ওই মামলায় বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
Leave a Reply