সালমা হক রিয়া,নোয়াখালী থেকে:
নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সাথে সাথে চৌমুহনী পৌরসভা এবং বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়নে লডডাউন ঘোষণা করা হয়।

জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সাতদিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে করোনার প্রকোপ না কমায় চলমান এ লকডাউন তৃতীয় দফায় আরও সাতদিন বর্ধিত করা হয়েছে। আগামী ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

তিনি আরও জানান, লকডাউনকে আরো কার্যকর করতে বন্ধ থাকবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল।

এর আগে গত ৫ জুন এবং ১০ জুন ও ১৮জুন জেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান সকাল ৬টা থেকে তৃতীয় দাফে রাত ১২টা পর্যন্ত ২১ দিন লকডাউন ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৫৬৯ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ১ শতাংশ। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কবিরহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০ জনে। মৃত্যুর হার ১দশমিক ২৩শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৪জন, সুবর্ণচরে ২জন, বেগমগঞ্জ-৪৫জন,সোনাইমুড়ীতে ৮জন,চাটখিল ১৩জন, সেনবাগ-১৭জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪জন, কবিরহাট ১৭জন।