লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ও শান্তিপুর্ণভাবে-লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পুর্ন হয়েছে।

এতে এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ২২ হাজার ৫শ’ ৪৭ ভোট পেয়ে নিরবে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ ফায়েজ উল্যা শিপন লাঙ্গল পেয়েছেন ১৮শ’ ৮৬ ভোট।

সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১৩৬ কেন্দ্রে ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঝুকিপুর্ণ ৮৪ কেন্দ্রে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে।

সকাল থেকেই উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিলো। রায়পুর উপজেলার পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়নের ৭৩ কেন্দ্র ও সদর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৬৩ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট সম্পর্ণ হয়।

এদিকে ঘাঁটি হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। লক্ষ্মীপুর জেলা-আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মো. ফায়িজ উল্যা শিপনের নিরবে পরাজয় হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ আসনে লক্ষ্মীপুর সদরের নয়টি ইউনিয়ন, রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে ১৩৬টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে পুলিশের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব-১১ নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। এ আসনে মোট ৪ লাখ ২ হাজার ৯৬৩ জন ভোটার ছিল।

জাপার প্রার্থী শেখ ফায়িজ উল্যাহ শিপন বলেন, আমার নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিলোনা। বিষয়টি আমি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি কাজ করেছি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নও বলেন, সরকারের উন্নয়নে সুফলভোগী হওয়ায় ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে এসে ভোট দিয়েছেন। নৌকার পক্ষে ভোটারদের গণজোয়ার ছিলে। অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা ভোট চেয়েছিলো।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে আইন-শৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক টহলে ছিলো। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি ভালো ছিলো সঠিকভাবে ভোটগ্রহণে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারগন কাজ করেছেন।

প্রসঙ্গত, কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল গত বছরের ৬ জুন কুয়েতে মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ঘুষ কেলেংকারি ঘটনায় কুয়েতে পাপুলের ৪ বছর সাজা ও অর্থদণ্ড হয়। পরবর্তীতে পাপুলের ৪ বছর থেকে সাজা বাড়িয়ে ৭ বছর করেছেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি শূন্য হয় আসনটি। ৩ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে ১১ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ১ এপ্রিল নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে আবারও ২১ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।