জাতীয় | তারিখঃ May 26th, 2021 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1107 বার
বিজয়ের আলো ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নতুন করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা সংযুক্ত ছিলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে আমরা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েই কাজ করছি। করোনা মোকাবিলায় পরামর্শক কমিটি রয়েছে তাদের সাথে আলোচনা করেই কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। সংক্রমণের হার শতকরা কত শতাংশ নেমে নেমে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া সম্ভব। এখন আমরা দেখছি ৫ শতাংশ উপরে রয়েছে। আমাদেরকে এসব বিষয় মাথায় রেখে বিজ্ঞানের মধ্য থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদের সপ্তাহের ছয়দিন ক্লাসে আসতে হবে। ২০২২ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদেরকেও হয়তো একই সময়ে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যান্য ক্লাসের ব্যাপারে হয়তো সপ্তাহে একদিন তাদের ক্লাসের নিয়ে আসা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে সে তথ্য ইউজিসির কাছে চেয়েছি। তবে যাদের বয়স চল্লিশের বেশি, বেশিভাগই টিকা গ্রহণ করেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের বয়স ৪০-এর কম তাদেরকে বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। নতুন টিকা আসলেই তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে। এক্ষেত্রে আবাসিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ সংখ্যাটা যেহেতু বিশাল নয়, তাই দ্রুত ওদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যদি উন্নতি হয় তবে জুনের মধ্যে হয়তো স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া সম্ভব হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করতে হবে করোনা টিকার ওপর। অঞ্চলভিত্তিক খুলে দেয়ার ব্যাপারে অনেকেই মতামত দিচ্ছে এটিও আমাদের মাথায় আছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
,,,,বিআলো,,
Leave a Reply