নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ঘরমূখী ও অসহায় পরিবারের মাঝে শাড়ী-লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান ।
তিনি সদর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘরমূখী ও অসহায় মানুষের মাঝে এসব শাড়ী-লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন এসময় সাথে ছিলেন তার বড় ছেলে সাদমান সাকিব রাহী। করোনার শুরু থেকে তিনি অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী , ঈদ সামগ্রী সহ নানা উপকরন বিতরন করেছেন। সেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে রাতের আধারেও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি খাদ্য সামগ্যী পৌছে দিয়েছেন। মহানুভব এ ব্যক্তিটি নোয়াখালী সদর উপজেলার মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা মানবিক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান নামে পরিচয় লাভ করেন। সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব নেবার পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের খবর নিচ্ছেন। কখোনো নেতা কর্মীদের মাদ্যমে আবার কখোনো সয়ং নিজে মানুষের দারে গিয়ে নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। বিনামুল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশনের মাধ্যমে শতাধিক নারী পুরুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। তাই তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে সকলে জানে।
সরেজমিনে এলাকায় গেলে স্থাণীয় সুবিধাভোগিরা জানান, তার মতো এমন মহানুভব চেয়ারম্যান আমরা আগে কখোনো দেখিনি। যিনি মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারেন তার ঘরে খাবার আছে কিনা। আমরা তার কাছে গিয়ে কখোনো খালি হাতে ফিরে আসিনি। তিনি সব সময় আমাদের সহায়তা করে আসছেন। বয়বৃদ্ধ হারিছ মিয়া জানান, তার পিতা মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মালেক কমিশনার ও মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন। তার ছেলেও তার মতো মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তার কাছে গিয়ে আমরা কখোনো খালি হাতে ফিরে আসিনি। যখন যে কাজে গিয়েছি সহযোগিতা করেছেন। নগদ টাকা ও লুঙ্গি এমনকি চাল ও দিয়েছেন। আমি তার জন্য সব সময় দোয়া করি। অতিতে অনেক চেয়ারম্যান ছিলো যাদের কাছে গিয়েও সমস্যা সমাদান থাক দুরের কথা দেখা করতেও পারিনি।
শাড়ি,লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরন কালে তিনি বলেন, আমি যতদিন বেচে থাকবো আমার সাধ্যমত আপনাদের সহায়তা করবো। আপনাদের পাশে আছি থাকবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার নেতা একরামুল করিম চৌধুরীর জন্য ও দোয়া করবেন। আমি আমার নেতার সহযোগিতা ও নির্দেশে আজকে আপনাদের এ সহয়োগিতা করতে পারছি। তিনি নোয়াখালীর মানুষের জন্য সব সময় ভাবেন। আপনাদের পার্শ্বে থাকার জন্য অনুপ্রেরণা জোগান। তাঁর মতো সারা দেশের এমপিরা কাজ করলে ও মানুষের সহায়তা করলে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন অভাব থাকতো না।