চট্টগ্রাম বিভাগ, জেলার খবর | তারিখঃ April 6th, 2021 | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 764 বার
সালমা হক রিয়া,নোয়াখালী প্রতিনিধি ঃ নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে পুর্ব লক্ষীনারায়নপুর গ্রামে মোস্তফা হাবিলদারের বাড়িতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাচলের পথে ইমারত নির্মান কাজ করছেন একই এলাকার ইব্রাহিম খলিল মজনু। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির চলাচলের রাস্তার উপর তিনি বহুতল ভবন নির্মান কাজ করছেন। ভুক্তভোগি গোলাম কবিরের ছেলে বেলাল উদ্দিন পৈত্রিক ও খরিদ সুত্রে জায়গার মালিক এবং ঐ চলাচলের পথে তার বাখরাবাদ গ্যাস লাইন রয়েছে বলে দাবী করে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তড়িৎ হস্তক্ষেপ চান।
ভুক্তভোগি বেলাল উদ্দিন জানান, জায়গাটি বাড়ির চলাচলের রাস্তা ও বাড়ির উঠান। চলাচলের রাস্তার সাথে পৌরসভার পাকা রাস্তার সংযোগ রয়েছে। ১৯৯৮ সালে মৃত ছায়েদল হকের ওয়ারিশ থেকে ১৬শতক সম্পত্তি ১০৩৯ ও ১০৩১ দাগে ক্রয় করে তা ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমান ডিএস মাঠ জরিপে আমরা খতিয়ান প্রাপ্ত হই। ঐ খতিয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষগন ৩০ধারা ও ৩১ ধারায় মামলা করলে কাগজ পত্রাদি যাচাইয়ে তা আমাদের পক্ষে রায় হয়। এর পরও মজনু জোর করে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের জায়গার উপর বহুতল ভবন নির্মানের পায়তার করছে জেনে আমি আদালতে মামলা করি। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সুধারাম থানা পুলিশের এস আই মোঃ মহিউদ্দিন ভুইয়া সাক্ষরিত আদালতের পিটিশন মামলা নং ১৬০/২০২১ইং। ধারা ১৪৪/১৪৫ কাঃ বিঃ মতে উভয় পক্ষকে নালিশী ভুমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জমির রুপ পরিবর্তন, পরিমর্ধনসহ কোন স্থাপনা নির্মানসহ জোর পুর্বক দখল হতে বিরত থাকার নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দালান নির্মান কাজ করছে। নির্মান কাজের ভিতরে আমার গ্যাস পাইপ লাইন রয়েছে। এবিষয়ে বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ যাবার পর সন্ত্রাসী নিয়ে এসে তারা জোরপুর্বক নির্মাণ কাজ করছেন । তাই আমি এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে ঘটনাস্থলে ইব্রাহিম খলিল কে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সুধারম থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, আদালত উভয় পক্ষকে নোটিশ করার নির্দেশ দিয়েছে। আমি নোটিশ দিয়েছি এবং বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন জানিয়েছি। এখন যদি বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তাহলে বাদি আদালতে ১৮৮ জন্য আবেদনর করবে । আদালত তদন্ত করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
Leave a Reply